টার্কি গৃহপালিত পাখি হিসেবে উত্তর আমেরিকাতে সর্বপ্রথম পালন করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে ১৫৫০ সালে উইলিয়াম স্ট্রিকল্যান্ড নামের এক ইংরেজ নাবিক টার্কি পাখিকে ইংল্যান্ডে নিয়ে আসেন। বর্তমানে ইউরোপসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে এই পাখী কম-বেশি পালন করা হয়। পশ্চিমা দেশসমূহে টার্কি ভীষণ জনপ্রিয়। তাই সবচেয়ে বেশি টার্কি পালন হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ডে, ব্রাজিলে । বাংলাদেশের খামারিগন টার্কি পাখি পালনে বেশ আগ্রহী। অনেক বেকার তাদের বেকারত্ব দূর করছে টার্কি পালন করে। বাংলাদেশে পোল্ট্রি পালনের পাশাপাশি টার্কি মুরগী পালন ও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে বাংলাদেশেও এখন ব্যাক্তি উদ্যোগে টার্কি চাষ শুরু হয়েছে। তৈরি হয়েছে ছোট-মাঝারি অনেক খামার । ইলেকট্রনিক মিডিয়া আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে বেকার যুবকদের অনেকেই টার্কি পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কিছু কিছু খামার থেকে টার্কির মাংস বিদেশে রপ্তানীর চেষ্টা চলছে। অচিরেই এ পাখির মাংস রপ্তানী অর্থনীতিতে অবদান রাখবে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টার্কি পাখির মাংস বেশ জনপ্রিয়। টার্কি বর্তমানে মাংসের প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
আরও দেখুন...